ঈশ্বরের এই বিশ্ব হ্যাক করলে কেমন হয়?

(১)

আচ্ছা, ভেবে দেখো তো, Parents থেকে তো আমাদের সৃষ্টি, সেই Parents কতোজন Person এর সমন্বয়ে? 

দুই জন। 

আচ্ছা, তাহলে Total Grand Parents মানে ঠিক আগের ধাপে কতজন? 

চার জন তো? বাবার Parents আর মায়ের Parents সব মিলিয়ে চারজন। 

তাহলে হিসেব করি তো- 

Parents = 2 Person

Grand Parents = 4 Person 

Great Grand Parents = 8 Person 

2nd Great Grand Parents = 16 Person

3rd Great Grand Parents = 32 Person

4rth Great Grand Parents = 64 Person

5th Great Grand Parents = 128 Person

6th Great Grand Parents = 256 Person

7th Great Grand Parents = 512 Person

8th Great Grand Parents = 1024 Person

9th Great Grand Parents = 2048 Person

তাহলে গ্রাজুয়ালি হিসেব করলে ২, ৪, ৮, ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮, ২৫৬, ৫১২, ১০২৮...

কিছুর সাথে মিলছে কি? 
দুই এর যদি একটি সিরিজ লিখতে বলা হয় যা জ্যামিতিক হারে বাড়বে? অথবা আমরা যে মেমরি কার্ড ব্যবহার করতাম বা করছি, সেগুলোর সাইজ কি যেন? ২ জিবি, ৪ জিবি, বা ৫১২ জিবি, ১০২৮ জিবি বা ১ টেরাবাইট। ম্যাথের সাথে কানেক্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের সৃষ্টির মুহূর্তের ইতিহাস। আমি গণিতবিদ নই, অন্যথা দেখানো যেতো এই মহাবিশ্বের সবকিছুতেই অঙ্কের সব সূত্রদের খেলাধূলা। তবে এইটুকু বলতে পারি পরিগণক যন্ত্র বা গণনাকারী যন্ত্রের সব হিসেব নিকেশের দ্বার হলো ২ এর জ্যামিতিক হারে বেড়ে যাওয়াই। এই থেকেই শুরু হয় কম্পিউটার বিজ্ঞানের সব ম্যাথমেটিক্সের খেলাধুলা। 


(২)

এবার অন্য গল্পে ঘুরে আসি চলো। 

ধরো তুমি অফিসে বসে আছো, বিরক্তি লাগছে। এমন অপরাহ্নে প্রিয় লাইব্রেরীতে যদি আধাশোয়া কিছু একটা বই নিয়ে গ্রন্থগঙ্গাতে হারানোই না গেলো, তাহলে হয়? 

কিন্তু ধরো, তোমার কাছে আছে একটি ভিআর ক্যামেরার চেয়েও আরও আপডেটেড কিছু। যা দিয়ে কোডিং করে রাখা তোমার লাইব্রেরীতে ঢুকতে পারবে ভার্চুয়ালি। এ আর এমন কি ব্যাপার? তাই না? 
 
কিন্তু যদি হয় এমন, তুমি অফিসে বসে থেকেই লাইব্রেরীতে ঢুকে হেঁটে বেড়াতে পারবে, চইলে প্রিয় একটা বই নামিয়েও নিতে পারবে। বা চাইলে আয়েশ করে চেয়ারে বসে গা টা হেলিয়ে দিয়ে পড়তেও পারবে। তারপর শে্লফে না রেখে টেবিলে রেখেই লাইব্রেরীটা ঝাড়ু দিয়ে ক্লিনও করে নিলে। 

আরে আরে, ৪ টা বেজে গিয়েছে তো। বসের সাথে মিটিং আছে। তো সব যেমন আছে, তেমনই রেখে দিয়ে তুমি বের হয়ে এলে লাইব্রেরীতে। আরেহ তুমি তো আবারও অফিসেই। 

মিটিং শেষে বাড়ি গিয়ে লাইব্রেরী রুমে গিয়ে দেখলে, অফিসে বসে ভার্চুয়ালি যা যা করেছো, সত্যিই সেগুলো হয়েছে। 

মানে কি!!! হ্যাঁ অনেকের কাছেই আজগুবি মনে হবে। তবে কি জানো সায়েন্সের বর্তমান পরশুর অবিসশ্বাস্য কল্পনা। যা যা বললাম সেগুলো পুরো যে আজগুবি তাও না। কিছু কিছু তো এখনই সম্ভব হয়ে গিয়েছে। 

(৩) 

মার্বেলের মুভি যারা দেখো, তারা দেখে থাকবে, প্রোগ্রাম করা শত শত অটোমেটেড কম্পিউটার নিজে থেকেই কতো কি করে যায়। আর সেগুলো এতো আপার লেভেলে গিয়েছে গ্রাজুয়ালি যে মাল্টিভার্সের ভিজুয়াল পর্যন্ত তোমরা দেখেছো। কিভাবে সময় সহ বিভিন্ন ডাইমেনশনে ট্রাভেল করে বিভিন্ন রকম একই সাথে একই স্থানে থাকা বিভিন্ন ভিজুয়ালের ইউনিভার্সে ট্রাভেল করে ফেলা হচ্ছে। দেখেছি তো আমরা সবাই। 

কিন্তু, কেউ কি এই পর্যন্ত পড়তে পড়তে একবার ভেবে ফেলেছো, উপরের ওই লাইব্রেরীর মতোই প্রোগ্রাম করা নয় তো এই মাল্টিভার্স? 

কেউ একজন তার কোনও এক লেখাতে একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো , ঈশ্বর একজন দারুণ প্রোগ্রামার নয় তো? যিনি দারুণ সব কোড, এলগরিদম লিখে লিখে সৃষ্টি করে গিয়েছেন একটার পর একটা গ্রহ নক্ষত্র ইউনিভার্স আর প্রতিটি ক্রিয়েচার সৃষ্টির সূচনা? 

সেদিন আমি ভাবলাম, আচ্ছা আমি কি কখনো অনেক ভালো প্রোগ্রামার হয়ে ঈশ্বরের সৃষ্টিকেই হ্যাক করে বসে,  আমার সাথে কিছুক্ষণের জন্য দাবা খেলার আমন্ত্রণই করে ফেলি স্বয়ং স্বর্গের ঈশ্বরকেই? 

ব্যাপারটা খারাপ হয় না কিন্তু!! তবে সেদিন মাথায় ঢুকেই গিয়েছিলো, স্বর্গের ঈশ্বরের চেয়ে বড় প্রোগ্রামার আর কেউই নয় ইতিহাসে! 

আর বিশ্বাস করো, এটা ভাবতে ভাবতেই এইতো সেদিন যখন সাব্জেক্ট চয়েজের জন্য জিজ্ঞাসা করা হয়, ভাবলাম, আমার মতো সাধারণ ব্যক্তির ঈশ্বরের দর্শন পাওয়ার জন্য এই একটাই উপায় আছে, তাই শেষমেশ বলেই ফেলেছিলাম, 

- আজ্ঞে স্যার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইনঞ্জিনিয়ারিং, ঈশ্বরের সাথে দাবা তো খেলতেই হবে আমায়!

- কি বললে?
 
- সিএসই নিবো স্যার!!! 


"ঈশ্বর কি এভাবে স্নেহ করেন তারই প্রোগ্রাম করা ইউনিভার্সগুলোকে উন্নত ভিআর চোখে লাগিয়ে?"  


এই লেখাটি নিতান্তই রূপক অর্থে। কোনো ব্যক্তি, বিশ্বাস, ধর্ম, সমাজ বা অন্য যেকোনো প্রকার ভাবাবেগকে আক্রমণ করতে নয়।
যদি কারো ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকে, লেখক আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

অন্তত এমন হোক